এক চোখা এক উন্মাদ



নীৎশের ‘দ্য ম্যাডম্যান’ একটি চমকপ্রদ রচনা। চমকপ্রদ তবে সারবস্তুহীন, অযৌক্তিক এবং অবশ্যই আবেগপ্রসূত।

অনেক অনেক অবিশ্বাসীর জন্যেই এটি একটি বাইবেলসম রচনা। তারা এটির প্রশংসা করে এটা ভুলে গিয়ে যে, নীৎশে যখন বলছেন- ‘ঈশ্বর মৃত’, তখন এর মানে কিন্তু স্রষ্টার অস্তিত্ত্ব/ধারণা স্বীকার করে নেয়া। এটা এক জটিল চিন্তার বিষয়বস্তু হওয়া উচিত ছিল নীৎশেপ্রেমীদের জন্যে। কিন্তু না, তারা ‘ঈশ্বর মৃত’ এই চমৎকারি বাক্যতেই সন্তুষ্ট। আগ বাড়িয়ে বা পেছনে গিয়ে তারা ভাববেন না। 

এটা সাদামাটা ও সরল আলাপ। আরো গভীর আলোচনায় যাওয়ার আগে এই সরল আলাপ আমরা করে রাখি যে, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্ম অনুযায়ী স্রষ্টার ধারণা হয়তো নীৎশের ছিল কিন্তু ইসলাম অনুযায়ী, আল্লাহর ধারণা তার ছিল না। 

আল্লাহর সংজ্ঞা বা পূর্ণ ধারণা আমাদের দেয় সূরা এখলাছ-
[বলুন, তিনি আল্লাহ, এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।]

এছাড়াও কোরআনে আ্ল্লাহ আমাদের জানাচ্ছেন-
[আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক।] (৩:২)

ফলে, ইসলাম মতে, আমরা মুসলিমরা জানি, আল্লাহর জন্ম নেই, মৃত্যুও নেই। এমনকি আধুনিক সময়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ অগ্রগতিও সর্বশক্তিমান আল্লাহর ধারণাকে বাতিলতো করেই না, বরং দৃঢ় করে। পবিত্র কোরআনের বিশুদ্ধতা, যুগোপযোগী  বক্তব্য বা আদেশ-নিষেধের প্রাসঙ্গিকতা এবং সার্বজনীনতা আধুনিক সময়ে এবং যুগে যেমন খাপ খেয়ে যায়, তেমনি অতীতেও মানুষ এর থেকে যুগোপযোগী আদেশ-নিষেধ পেয়েছে। এমনকি ভবিষ্যতেও সভ্যতার চরমতম শিখরে দাঁড়িয়ে আধুনিক প্রযুক্তি-আবিষ্কারকে পাশে রেখেই মানুষ কোরআন, তথা আল্লাহর বাণী থেকে পথ পাবে এবং সকল সমস্যা থেকে মুক্তির জন্যে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে।

যদি নীৎশে বলতেন যে, ধর্ম মৃত, তাহলেও এই রচনা প্রাসঙ্গিক হতো, কেননা ইহুদি-খ্রিস্টান ধর্মে নানান গোঁজামিলপূর্ণ তথ্য এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রয়েছে। বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক বক্তব্য রয়েছে। এছাড়াও পশ্চিমা দেশগুলোতে খ্রিস্ট ধর্ম ক্রমেই আবেদন হারিয়ে চলছিল এবং মানুষ ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল। এ থেকেও নীৎশে এই সিদ্ধান্তে আসতে পারেন।

এবার একটু গভীরে আলাপ করা যাক।

অনেকেই বলেন, যেহেতু ‘দ্য ম্যাডম্যান’ একটি প্যারাবল, তাই এটিকে ওপর থেকে যেমন দেখায় এটি আসলে তেমন নয়। কেউ কেউ বলেছেন- নীটশে আমাদের সামনে একাধিক সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন। হয় স্রষ্টাসহ নৈতিকতা অথবা স্রষ্টাও নেই, নৈতিকতাও নেই। আর যদি স্রষ্টা না থাকে, নৈতিকতার ভাগ্যও নির্ধারিত। ফলে, নৈতিকতা-মানবিকতার বিকল্প কিছুকে মেনে নিতে হবে।

এরমানে নৈতিকতার আর ভিত্তি থাকে না। মানুষকে এখন নৈতিকতা বিবর্জিত বলা যায়। স্রষ্টা মৃত মানে নৈতিকতাও মৃত। প্রশ্ন আসে- নীৎশে কী এই নৈতিকতার বর্জনকে স্বাগত জানিয়েছেন না এটি তাকে ব্যথিত করেছে? এই প্রশ্নের আসলে উত্তর নেই। নীৎশের এই রচনা নিয়ে বেশ ভাল বিতর্ক আছে। অনেকেই বলেন- উন্মাদ লোকটির চারপাশে যেসকল লোক ছিল, যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করতো না, তারা আসলে দার্শনিক। তারা উন্মাদ লোকটির কথায় হেসে উঠেছে, কেননা স্রষ্টার প্রশ্নে তাদের কিছু যায় আসে না। কিন্তু, শেষে গিয়ে তাদের চোখে যখন থাকে অস্বস্তি তার মানে দাঁড়ায়, তারা বিভ্রান্ত। উন্মাদ লোকটি তাদের বিভ্রান্ত করে ফেলে। বিভ্রান্ত-দিশাহীন প্রশ্নের স্রোতে।

উন্মাদটির বক্তব্যে আরো কিছু প্রশ্ন আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়, যেমন- কেন সে স্রষ্টাকে মৃত বলছে? স্রষ্টার মৃত্যুর মানে কী দাঁড়ায়, এর প্রভাব কী হতে পারে? উন্মাদটি আসলে কে?

নীৎশে আরো অনেকের মতই নিজ সময়ের বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মুগ্ধ ছিলেন। প্রভাবিত ছিলেন। ডারউইন তাকে প্রভাবিত করেছে এটা ধরে নেয়া যায়। ‘সারভাইবাল অব দা ফিটেস্ট’ এর প্রতি মুগ্ধতা ছিল তার।  অথবা বলা যায় সবলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব ছিল। তিনি ‘Thus Spoke Zarathustra’ বইয়ে সুপারম্যান বিষয়ে আলাপ করেছেন। ডারউইনের বিবর্তন তত্বের প্রভাবেই বোধহয়। 

‘দ্য ম্যাডম্যান’ এ উন্নত মানবের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, উন্মাদ লোকটি যখন বলে- ‘আর আমাদের পরে যারা জন্ম নেবে, শুধুমাত্র এই খুনের জন্য তারা আগেকার যে কোন ইতিহাসের চেয়ে উচ্চতর ইতিহাসের পাতায় নিজেদের জায়গা করে নেবে!’

তিনি কল্পনা করেছেন, এসকল মানুষেরা নৈতিকতার অনুসরণ না করে নতুন মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করবে। এরা হবে মানবজাতির উন্নত সংস্করণ। এরা দুর্বলদের মতো দয়াশীল হবে না। মানবিকতার চর্চা করবে না। এরা জয় করবে। দুঃখের বিষয় তার এসকল বক্তব্য হিটলার তথা নাৎসী বাহিনী মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো। যে কারণে নীৎশে ছিল নাৎসীদের পীর। ‘Thus Spoke Zarathustra’ বইটি জার্মান সৈন্যরা এমনকি যুদ্ধের ময়দানেও সাথে রাখতো। তার ‘Will to Power’ বইটিকেতো বলা হয় নাৎসীদের মূখ্য প্রচারপত্র। এটাকে নাৎসীরা বাইবেলসমান গুরুত্ব দিতো। 

অনেকেই বলে, নাৎসীরা নীৎশের অনেক বক্তব্যকে বিকৃত করেছে নিজেদের স্বার্থে। অভিযোগ আছে যে, এই বইটিতে মৃত্যুর পর তার নাৎসী সমর্থক বোন নীৎশের বক্তব্য কাট পেস্ট করে বইটি প্রকাশ করেছে। তবে এটুকু নিশ্চিত যে, হিটলার বা নাৎসী বাহিনীর পছন্দের বক্তব্যগুলো নীৎশের রচনায় কমবেশি ছিলই।

সে যাক, বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে মুগ্ধ নীৎশে’র মনে হয়েছে, মানুষের কাছে স্রষ্টার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। ফলে স্রষ্টাকে এখন মৃত ঘোষণা করা যায়। স্রষ্টার মৃত্যুর মানে কিন্তু দাড়ায় নৈতিকতারও মৃত্যু। মানুষের মধ্যে চলমান নৈতিকতার ধারণা, স্রষ্টার অপ্রয়োজনীয়তাবোধ তৈরী হবার সাথে সাথেই মিলিয়ে যেতে শুরু করবে। 

এটা আসলে নীৎশে’র এক প্রস্তাবনা। নীৎশে বাস্তব জীবনে যেহেতু নৈতিকতার ধার ধারতেন না, সেহেতু এটা বলা যায় যে, নীৎশে চেয়েছেন মানুষকে নৈতিকতা, মানবিকতা বিষয়ে নতুন করে ভাবাতে। এসবকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে। ‘ঈশ্বর মৃত’ এ কথা না বলে নীৎশের পক্ষে এ প্রস্তাবনা দেয়া সম্ভবপর ছিল না। কেননা অবিশ্বাসী নীৎশে বিশ্বাস করতেন, সকল নৈতিকতার উদ্ভব স্রষ্টা হতে। তার মতে, স্রষ্টার ধারণাই নৈতিকতার ভিত্তি। এই ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি। 

স্রষ্টা আছে কী নেই, এই তর্কে নীৎশে না গেলেও তিনি ম্যাডম্যান রচনার মাধ্যমে আমাদের সেই তর্কেই টেনে নেন আসলে। এই রচনাতে তিনি বলতে চান, স্রষ্টা থাকুক বা না থাকুক, স্রষ্টার ধারণা বর্তমান। এবং তিনি ভাবতেন আধুনিক যুগ সেই ধারণা বাতিল করে। তার যুগের তুলনায় আমাদের কাছে বিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত বেশি রয়েছে। এই তুলনায় নীৎশের যুগকে রীতিমত অন্ধকার যুগই বলা চলে। আমাদের সময়ে অনেক নোবেল জয়ী বিজ্ঞানীও বলছেন আমরা এই মহাবিশ্বের মাত্র ৪-৫% জানতে পেরেছি। ফলে, স্রষ্টার ধারণাকে যৌক্তিকভাবে আমরা বাতিল করতে পারি না। 

তো এই ভয়ানক কম জ্ঞান নিয়ে কী করে সিদ্ধান্তে চলে আসা যায়- স্রষ্টা বলতে কিছু নেই? স্রষ্টা কোনো সত্তা নয় বরং মানুষের ধারণার সমন্বয় মাত্র? আধুনিক যুগের সাথে সাথে স্রষ্টার ধারণার সমাপ্তি ঘটে গেছে? ‘আধুনিক সময়ের যৌক্তিকতা স্রষ্টার ইমেজকে অযৌক্তিক বিধায় খারিজ করে দেয়’’? স্রষ্টা মৃত? ‘আমরা আসলে নিজেরাই স্রষ্টা হয়ে উঠছি, হয়ত আমাদের ভবিষ্যৎ হবে আরও সম্ভাবনাময়’? অথবা কী করে আমরা আশা করি, বিজ্ঞান হয়ে উঠবে স্রষ্টার বিকল্প? স্রষ্টায় বিশ্বাসের মতো মৌলিক বৈশিষ্ট্য বিলীন হয়ে যাবে?

বিশ্বাসের যৌক্তিকতার লেখক ড. রাফান আহমেদের মতে- 

“স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস সহজাত ও মৌলিক। এর বিপক্ষে আপনি যদি কোন বস্তুগত প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন, তখন আমরা আলোচ্য মৌলিক বিশ্বাসের ধারণা পুনঃবিবেচনা করতে পারি। কিন্তু ব্যাপার হলো, স্রষ্টায় বিশ্বাস অধিবিদ্যার বিষয়, যা বস্তুগত সীমার বাইরে (বস্তুজগত থেকে আলাদা)। আর অন্যদিকে বিজ্ঞান বস্তুজগতের পর্যব্ষেণেই সীমাবদ্ধ, এখানেই আমাদের সমস্যা; এ কারণেই বিজ্ঞান কখনোই প্রত্যক্ষভাবে স্রষ্টার অস্তিত্ত্ব প্রমাণ বা বাতিল করতে পারে না। স্রষ্টার অস্তিত্ত্বের প্রশ্ন বিজ্ঞানের আওতার বাইরে।”

এ বিষয়টা একদম সহজে বুঝতে ধরা যাক-  ভিডিও গেইমের চরিত্ররা যদি কোনো এক উপায়ে, স্বাধীন চিন্তার অধিকারী হয়ে গেইমের কোনো প্রোগ্রামার থাকতে পারে বলে স্বীকার না করে, তাতে কী কিছু বদলায়?  

আসলে স্রষ্টার ধারণা বিলীন হবার প্রস্তাবনা বা সিদ্ধান্ত তখনই কেউ দেয় যখন সে Confirmation bias নামক মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। ‘কনফার্মেশন বায়াস’ নামক বৈশিষ্ট্যটি মানুষের  ভেতরে একরৈখিক চিন্তাধারার জন্ম দেয় বা লালন করতে শেখায়। যখন কেউ একজন কোনো দর্শন বা মত বা জ্ঞানে পুরোপুরি বিশ্বাস স্থাপন করে তখন তার মধ্যে একটা প্রবণতা থাকে তার পছন্দনীয় মতের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপনের বা নিদেনপক্ষে একপাক্ষীক বক্তব্য তৈরীর। এটা মানুষ অবচেতনেই করে। এমনকি মানুষ নিজের পক্ষে বক্তব্য তৈরী করতে গিয়ে বাতিল করে দেয় বিপরীত গুরুত্বপূর্ণ মতামতগুলো। নিজ মত বা দর্শনকেই কেবল গুরুত্বের সাথে প্রতিষ্ঠা করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। এবং এমন প্রস্তাবনা সামনে রাখে যা, তার মতামতকেই কেবল সমর্থন করে। 

‘দ্য ম্যাডম্যান’ রচনাকে নীৎশের প্রস্তাবনা বলছি আমি একারণে যে, নীৎশে নৈতিকতা বিষয়ে, উন্নত মানব (সুপারম্যান) বিষয়ে, বীরত্ব-বিজয়ীদের প্রশংসাসূচক যেসকল রচনা লিখেছেন তা এই ‘দ্য ম্যাডম্যান’ এর পরে রচিত। যেমন- ‘Thus Spoke Zarathustra’, ‘Genealogy of Morality’, ‘তার Will to Power’ ইত্যাদি।

যেমন তিনি ‘Genealogy of Morality’ বইয়ে বলেছেন, গ্রীক দাসদের অভিজাতদের প্রতি ঈর্ষাই জন্ম দিয়েছে মানবিকতা। অতীতের বীরদের গুণমুগ্ধ নীৎশে যুদ্ধে বীরত্বকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন মানবিকতা, দয়াশীলতা ইত্যাদির ওপরে। তার মতে বীরদের গুণাবলিই ইতিবাচক। ক্রীতদাস ও দুর্বলদের গুণ নেতিবাচক। তারা (দুর্বলরা) অভিজাতশ্রেণীর বীরত্ববোধকে বা বীরত্বের গুণাবলী অর্জন করতে ব্যর্থ হয়ে একে নেতিবাচকতায় পাল্টে দিয়েছে। তার এই ধারণাকে পুরো করতে ‘ঈশ্বরের মৃত্যু’ ঘোষণা ছাড়া গতি কী? আর আমার মতে তার ‘দ্য ম্যাডম্যান’ রচনায় উন্মাদ লোকটি নীৎশে নিজে। যে নিজে এই ঘোষণা দিয়ে আবার বলছে- সময়ের অনেক আগেই সে এই ঘোষণা দিয়ে ফেলেছে। এখনো মানুষ প্রস্তুত নয়। 

তবে মানুষ প্রস্তুত থাকুক বা না-ই  থাক নীৎশে তার দর্শন রচনার মাধ্যমে চেয়েছেন নৈতিকতা মানবিকতার সংজ্ঞা পাল্টে দিতে। তার ‘দ্য ম্যাডম্যান’ -কে এই প্রচেষ্টার প্রবল এক প্রস্তাবনা বলেই মনে করি আমি। সরাসরি নয় অবশ্যই। প্যারাবল হিসেবে। 

তিনি কী সফল হয়েছেন? না। দার্শনিক হিসেবে তার ব্যর্থতা- তিনি ঈশ্বর মৃত বলে নৈতিকতা-মানবিকতাকে বাতিল করে আস্থা রাখতে চেয়েছেন বিজ্ঞানে, বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ভুলে । আদর্শ জীবন আঁকতে চেয়েছেন দর্শনে আদর্শ (নৈতিকতা) বাদ দিয়ে । কিন্তু তিনি আদর্শ জীবনের মডেল আমাদের দেখাতে পারেন নি। যা পেরেছেন তা হলো- কিছু চমকপ্রদ উক্তি উপহার দিয়েছেন। এর বেশি কিছু নয়।
-------------------------------
তথ্য সূত্রঃ ইন্টারনেট, দর্শনের সহজপাঠ, দ্য ম্যাডম্যান (অনুবাদ), বিশ্বাসের যৌক্তিকতা ইত্যাদি।

আখতার মাহমুদ
ঢাকা, বাংলাদেশ
akthermahmud@gmail.com

Comments